Posts

বসন্তের জন্য অপেক্ষা

Image
  প্রিয় ঋতু কি কেউ জিজ্ঞেস করলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বো। কোনটা প্রিয় ঋতু? সবগুলোই যে প্রিয়! আমার বর্তমান ঠিকানা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য ডেলওয়্যার।এই ডেলওয়্যারে প্রতিটা মৌসুম ভিন্নতা নিয়ে আসে। যেহেতু এখানে প্রতিটা ঋতুর একটা   স্বতন্ত্র অস্তিত্ব  আছে তাই তাদের প্রতি আমার পৃথক পৃথক ভালোবাসা জন্মে গেছে। প্রতিটা ঋতুই নিয়ে আসে অনন্য আমেজ, প্রকৃতি সাজে অনুপম সাজে। সেই সাজ  যেন অন্য ঋতুগুলোর চেয়ে একেবারে ভিন্ন। এই যেমন এখন গুটিগুটি পায়ে এসেছে ঋতুরানী বসন্ত: আকাশে-বাতাসে ঝঙ্কৃত হচ্ছে তার আগমনী সুর, আমি সেই সুর শুনতে পাই।  সবগুলো ঋতু প্রিয় হলেও নিজেকে শীতকালের বড় ভক্ত বলে দাবী করতে পারিনা। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে যার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, তার পক্ষে ঠান্ডা আবহাওয়াতে মানিয়ে নেওয়া কার্যত কষ্টকর, বিশেষত সেই শীতকাল যদি চার-পাঁচ মাস স্থায়ী হয়। তাই শীতকাল বিদায় নিয়ে যখন বসন্তকাল আবির্ভূত হয় তখন এক একদিন জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ভাবি, "এত্ত সুন্দর একটা দিন দেখার সৌভাগ্য হলো আমার!" শোবার ঘরের জানলা দিয়ে প্রভাতের বাসন্তী রঙের রোদ এসে ভাসিয়ে দেয় কাঠে...

Blast from the Past

Image
I don't know how many of you watched The X-Files, but it is my all-time favorite TV series, starring David Duchovny and Gillian Anderson. The TV series was aired from 1993 to 2002. A total of 202 episodes! Bangladesh Television (BTV) aired it every Friday at 10:30 p.m. My friends, my brother and I would eagerly wait for it every Friday. Last year, my husband and I watched all the 9 seasons of The X-Files again. It was in 1997 I found their fan mail address in an entertainmen t magazine. I wrote to the fan club of David Duchovny in Los Angeles, requesting them to send me an autographed photo of his. A few months later I received an envelope. When the postman handed me the envelope and I read the address on it, I was shaking all over. I never thought they would actually mail a photo to Bangladesh all the way from America. It was 1997 and our postal system wasn't that efficient and international mails often got lost en route. I was lucky to have received it! I later on sent...

Tame your tongue, fingers too

The Daily Star link Date of publication: Sept. 1, 2015 The social media, particularly Facebook, has introduced me to a new world. A new world, yes, but a world that reeks of people's bad taste and poor choices. And a world that I wish I never stepped into. Welcome to the world of cussing! Growing up, I was told by my parents that I should never use swear words because it is an extremely bad thing to do and that the Almighty does not love people who swear. As I grew up I realized that cussing is in no way a pleasant thing to do. But if I look at the world around me today, I see that cussing has become commonplace, especially among our youths. I have noticed this practice on Facebook, particularly on troll pages and fan pages of entertainers and athletes. People also swear at complete strangers on comment threads of various public Facebook posts. Swearers pretty much swear at everything and everyone even when nothing offensive or abusive is in sight.  Why do they do th...

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়

আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখেছি পাশের বাড়ির আন্টি, আংকেল অথবা নিজেদের অনেক আত্মীয়স্বজনদের তাদের ছেলেমেয়েদের ভুরিভুরি প্রশংসা করে নানান সময় নানান কিছু বলতে। আমার ছেলে এই, আমার মেয়ে সেই... এই প্রাইজ পেয়েছে, ওখানে গান গেয়েছে, স্পোর্টস কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক সময় ব্যাপারগুলো হতো, "যত গর্জে তত বর্ষে না" ধরণের। আমরা দুই ভাই-বোন মোটামুটি মেধাবীই ছিলাম, বাবা-মা গর্ব করতে পারেন এই টাইপ। কিন্তু তাদের কখনও দেখতাম না আন্টি, আংকেলদের সাথে আমাদের নিয়ে তেমন কোন কথাবার্তা বলতে। হয়তো বলত, কিন্তু সে কথা এক লাইনেই শেষ। অথচ চাইলেই আরও ২-৩ লাইন অনায়াসে যোগ করা যায়। মেজাজটাই খারাপ লাগত। একদিন আম্মুকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম। আম্মু বলল, "আমার সন্তানরা যদি আসলেই ভাল হয়, মেধাবী হয়, সেটা আর দশজন বলবে, আমাকে বলে বেড়াতে হবেনা।" আমার মনে পড়ে না আর কখনও আমি আম্মুকে এই ব্যপারে কোন প্রশ্ন করেছি। এখন এমন অবস্থা যে কেউ প্রশংসা করলে আমি লুকানোর জায়গা খুঁজি, কান লাল হয়ে যায়, অস্বস্তিতে যে কথা বলছে তার দিকে ঠিকমত তাকাতেও পারি না। যাই হোক, এখন যখন দেখি কাউকে নি...

প্রবাসে বিদ্যুৎবিহীন একটি সন্ধ্যা

Image
আমরা যারা দেশ ছেড়ে প্রবাসে কোন উন্নত দেশে বসবাস করছি তাদের জীবন থেকে লোডশেডিং শব্দটা বলতে পারেন বিলুপ্তই হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কি জিনিষ সেটি আমরা টের পাই শুধু বড় ধরণের প্রাকৃতির দূর্যোগের সময়। যেমন সেদিন বিকেলবেলা হঠাৎ এক ঝড়ে আমরা চার ঘন্টার জন্য হয়ে পড়েছিলাম বিদ্যুৎবিহীন। এই দেশে বেশিরভাগ মানুষ এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকেনা, আমরাও ছিলাম না। বাসায় সবসময় মোমবাতি থাকে বলে রক্ষা, ঘুটঘুটে অন্ধকারে বসে থাকতে হয়নি। কিন্তু ঐ বিদ্যুৎবিহীন সন্ধ্যেটা অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। (মনে মনে হয়তো ভাবছেন, ডেইলি ডেইলি লোডশেডিং এর মধ্যে পড়লে আর এমন সুখানুভূতিও হত না আর সেটি নিয়ে ব্লগও লিখতে পারতেন না! স্বীকার করছি, আপনার ভাবনাটা ভুল নয়।) সেদিনের বিদ্যুৎবিহীন সন্ধ্যেটা মনে করিয়ে দিয়েছিল ছোটবেলার কথা যখন বিদ্যুৎ চলে গেলে সাথে সাথে জেনারেটরে জ্বলে উঠত না বাড়ির ফ্যান, লাইট। তখন “মোম, মোম, মোম কোথায়?” বলে বাসার সবাই একসাথে চিৎকার করে উঠত। মোম খুঁজতে যে যেত তার অন্ধকারে খাট অথবা চেয়ারের পায়াতে গুঁতো খাওয়া ছিল অনিবার্য। এদিকে পাছে অন্ধকারে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে ব্যথা...

She mistook wall for a canvas

Image
What happens when your toddler mistakes your wall for a canvas? You have very unique works of art all over the house. Not only unique, these artworks are abstract and priceless, too. But no matter how unique they may be, you don’t want them hanging from the walls of your house!  On one morning of June 2015, my daughter took my kitchen and living room walls for canvases. When I caught her, she was already done drawing on three walls and wrapping up her artwork on the fourth. She drew with a pen in one hand and a pencil in another for greater speed and coverage. An ambidextrous person in the making? Perhaps.  Her drawings, which resembled the humps and waves you see on an ECG (electrocardiograph) report, made me act like a mad woman. I was so angry that I cried. Being someone who is fastidious about cleanliness, this incident was similar to someone pouring buckets of black tar on white walls. I knew I had to find a way to remove these medical reports from the walls, my...

আসুন, আবেগ সংরক্ষন করি

আমি মানুষ হিসেবে আবেগী, কিন্তু অসংযত আবেগ আমার নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের অনেক বড় ভক্ত। বাঘদের খেলা থাকলে রাতে মাত্র তিন ঘন্টা ঘুমিয়ে, টিভির সামনে বসে চিৎকার দিয়ে গলা, আর হাততালি দিয়ে দু’হাত ব্যথা করে ফেলি। কিছুক্ষণ পর পর ফেইসবুকে দেই স্ট্যাটাস আপডেট। না দিয়ে থাকতে পারিনা যে! কিন্তু অন্যান্য অনেক ভক্তের মতন প্রতিদ্বন্দ্বীকে হীন করে দিনরাত সোশ্যাল মিডিয়া অথবা বাস্তব জীবনে কথা বলে যেতে পারিনা। অন্যদের এসব কর্মকান্ড দেখেও বিরক্ত হই। লেবু কচলে তিতা করে ফেললে সেটি ভাল লাগবার কথাও নয়! এক বাঁশ নিয়ে যা শুরু হয়েছে তাতে পৃথিবীর অবশিষ্ট পান্ডারা শঙ্কিত যে শুধু বাংলাদেশীদের কারণেই তাদের নিকট ভবিষ্যতে খাদ্য সংকটে পড়তে হতে পারে। সব বাঁশ নিয়ে যে বসে আছে বাংলাদেশীরা! যেখানে জাতীয় দলের অধিনায়ক বলছেন যে তিনি প্রতিশোধে বিশ্বাস করেন না সেখানে আমরা দর্শকরা প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছি। দমকল বাহিনীরও সাধ্য নেই আমাদের এই আগুন নেভায়। ভাগ্যিস আমরা মাঠে খেলি না, খেললে ক্রিকেটের মান-সম্মান বলে আর কিছুই বাকি থাকত না। ক্রিকেট হয়ে যেত হাতাহাতির খেলা! ম্যাচ জিতলে আমরা হয়তো নেমে পড়তাম বাঁশ হাতে, প্রত...